How to start
How to start with Forever Living Products to change your future?
(ভাবনাহীন ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশ্যে ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানির সাহায্য নিয়ে কি করে ব্যবসা শুরু করা যায়?)
ব্যবসা শব্দটি আমার অতি প্রিয় একটি শব্দ। কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের চাওয়া গুলো কে বাস্তবে পরিণত করতে পারি। তবে ব্যবসা করে সফল হতে গেলে অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তবেই সে কাঙ্খিত সফলতার শিখরে পৌঁছানো যায়। ব্যবসা করে সফল হবার পথটি যেহেতু বন্ধুর এবং কাঁটাযুক্ত, তাই সেখানে পৌঁছাতে গেলে কঠিন পরিশ্রমের পাশাপাশি প্রচন্ড মানসিক শক্তির প্রয়োজন হয়। এই মানসিক শক্তি আমরা পাই আমাদের স্বপ্ন এবং চাওয়া থেকে। খুব সহজ একটি প্রশ্ন নিয়ে ভাবলেই আপনি আপনার স্বপ্ন গুলো কে দেখতে পাবেন। প্রশ্নটি হলো, যদি আপনাকে রোজগার করার কথা ভাবতে না হতো, তার মানে আপনার অঢেল সম্পদ থাকতো, তাহলে আপনি প্রথম কোন কাজটি করতেন? আপনার জবাব যাই হোক, যদি চোখ বন্ধ করে এক মুহূর্তের জন্যে ভাবেন যে আপনার সে স্বপ্নটি সফল হয়েছে, তাহলে দেখবেন বুকের ভেতর টা একটা গভীর প্রশান্তিতে ভরে গ্যাছে। আর এই অবস্থায় পৌঁছানোর জন্যে আমরা হাজারো কঠিন বাধা কে অতিক্রম করতে পারি। যা হোক, আপনি আপনার এই চাওয়াটির কথা মনে রেখে পড়তে থাকুন।
যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে গেলে কতগুলো জিনিস আমাদের কে পরিষ্কার করে জেনে নিতে হবে। যেমন সর্বপ্রথম জানতে হবে আপনি কেন এই ব্যবসা করার পরিশ্রম করবেন। সৌভাগ্যবশতঃ আপনি একটু আগেই সেটি জেনেছেন।
দ্বিতীয়ত আপনাকে জানতে হবে আপনি কোন কোম্পানির সাথে কাজ করবেন। এবারে চলুন সে বিষয়ে আপনাদের একটু বলি। আমি খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি, তাই বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাকে প্রশ্ন করবেন।
আমি আপনাদের কে ‘ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস’ নামের একটি কোম্পানির অধীনে আমার টিম বা দলের সদস্য হিসাবে স্বাধীন ব্যবসা গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছি। ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানি টি ১৯৭৮ সালে আমেরিকার এরিজোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের রসকে মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহার করা দিয়ে শুরু করে আজ প্রায় দুশো বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করে এবং পৃথিবীর ১৫৭ টি দেশে এই পণ্যগুলো সরবরাহ করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং পদ্ধতির যথাযথ নৈতিক ব্যবহার কি করে সমাজের নিচু স্তরের মানুষদের ভাগ্য বদলে নেবার সুযোগ করে দিতে পারে, এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা রেক্স মওন তা বুঝতে পেরে, সেই পদ্ধতিতে পণ্যের বিপণন শুরু করেন এবং প্রায় ৪০ বছর পরেও সেই পদ্ধতিতেই কোম্পানি এগিয়ে চলেছে অবিচলিত ভাবে। বর্তমানে এই কোম্পানির বাৎসরিক বিক্রয় ২৬০ কোটি ডলার এর বেশি। এই কোম্পানির কোনো ঋণ নেই এবং ১৫০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ এবং নগদ অর্থ রয়েছে। তার মানে হলো যে এই কোম্পানির দেউলিয়া হয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আরো মানে হলো যে আমরা যারা এই কোম্পানির সাথে কাজ করি, আমাদের পাওনা না মিটিয়ে এই কোম্পানি ভেগে যাবে, সেটিও অসম্ভব। এই কোম্পানি ব্যক্তি মালিকানাধীন, তাই ব্যাঙ্ক বা শেয়ারহোল্ডার কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। পণ্যের মান উন্নয়ন এবং নতুন পণ্য প্রস্তুত করার গবেষণা কাজে তাই কোম্পানি কারো কোনো তোয়াক্কা না করে দেদারসে খরচ করে এবং সেকারণে আমরা উত্তরোত্তর ভালো পণ্য পাই। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্যগণ সেই শুরু থেকে কোম্পানির সাথে আছেন এবং তাই তারা জানেন কি করে মানুষের চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন পণ্য প্রস্তুত করে ব্যবসা আরো বড়ো করা যায়।
তৃতীয়ত আপনাকে জানতে হবে যে, আপনি যে পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করবেন, তার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে কিনা এবং ভবিষ্যতে এই চাহিদা বজায় থাকবে কিনা। চলুন সে নিয়ে দুটো কথা বলি। ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানি প্রাকৃতিক কাঁচামাল ব্যবহার করে নিত্যব্যবহার্য্য, স্বাস্থ্য বর্ধক এবং প্রসাধন পণ্য প্রস্তুত করে যেমন সাবান, শ্যাম্পূ , টুথজেল, মুখে এবং গায়ে মাখার ক্রিম, লোশন, হরেক রকম ভিটামিন, মিনারেল, সাপ্লিমেন্ট ফুড বা পরিপূরক খাদ্য, লিপস্টিক, ফেস পাউডার ইত্যাদি। এই পণ্যগুলোর চাহিদা কোনোদিন কমে যাবার সম্ভাবনা আছে কিনা আপনি নিজেই ভেবে দেখুন। বাজারে অন্য সব কোম্পানির তুলনায় আমাদের পণ্যগুলো বেশি কাঙ্খিত কারণ, আমাদের পণ্যে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। এমন কি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে গিয়ে প্রস্তুতকরণ খরচ বেশি হলেও কোম্পানি আপোষ করে না। বিগত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে বেহিসাবে হাজারো কেমিক্যাল ব্যবহার করে হাজারো রোগ-বালাই এর শিকার হয়ে, আজ সারা পৃথিবীজুড়ে মানুষ কেমিক্যাল থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফলে, আমাদের পণ্যের চাহিদা আরো বাড়ছে। আমাদের পণ্যগুলোর আরেকটি দিক হলো যে এগুলো ব্যবহার করার সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়। এবং সেকারণে একই কাস্টমার একই পণ্যের জন্যে বার বার ফিরে আসেন, তার মানে চাহিদা দিনে দিনে বাড়তে থাকে।
চতুর্থত, আপনাকে পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হবার সব থেকে কার্যকরী পথ হলো, পণ্য নিজে ব্যবহার করা, যা আপনি শীঘ্রই করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি যারা এজাতীয় পণ্যের গুনাগুন বিচার করে সার্টিফিকেট দেয়, তাদের সেসব সার্টিফিকেট থেকেও পণ্যের মান সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। কিন্তু কোম্পানি যদি পণ্যের উপর সন্তুষ্টির নিশ্চয়তা (গ্যারান্টি) দেয়, তাহলে সেটা সব থেকে নির্ভরযোগ্য। ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানি আমাদের পণ্যের গুণগত মান নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, খুচরা ক্রেতাদের ৬০ দিনের পয়সা-ফেরৎ ভিত্তিক নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি কেউ আপনার কাছ থেকে কোনো পণ্য কিনে ব্যবহার করে, ৬০ দিনের মধ্যে খালি বোতল বা ডিব্বা ফেরৎ দিয়ে যে কোন অসন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেন, তাহলে তিনি পুরো মূল্য ফেরৎ পাবেন। এক মিনিট একটু ভেবে দেখুন তো, যদি পণ্য ভালো না হতো, তাহলে এই কোম্পানি ৪০ বছর ধরে টিকে থেকে এমন বিশ্বময় ছড়িয়ে পরতে পারতো?
পঞ্চমত, আপনাকে খুব ভালো করে বুঝতে হবে এই ব্যবসা পদ্ধতি আপনার কাম্য উপার্জনের পথ তৈরী করতে পারবে কিনা। এটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কেননা, এর মাধ্যমেই আপনি এমন উপার্জন এর পথ করতে পারবেন, যা আপনার স্বপ্নের জীবন যাপন করার পথ খুলে দিতে পারবে। যে ব্যবসা তেমন উপার্জনের দেখতে পারবে না, তেমন ব্যবসার জন্যে খেটে সময় নষ্ট করার তো অর্থ নেই, তাই না? এই অংশটি আমি একটু সময় নিয়ে বোঝাবো। দয়াকরে মন দিয়ে আমার কথাগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন।
স্বপ্নের জীবনের তালা খুলে দিতে পারে এমন উপার্জনের আশা আমাদের এই ব্যবসায় করা যায় তার কারণ হলো যে ফরএভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পনি নৈতিকতার সাথে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে মার্কেটিং এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ না করে, বরং যে সকল কাস্টমার কোনো কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করে খুশি হয়েছে, তাদের কে ব্যবহার করা হয়। একটি সিনেমা দেখে বা বই পড়ে ভালো লাগলে, আমরা আমাদের বন্ধুদেরকে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সিনেমা বা বই সম্পর্কে উচ্ছাস নিয়ে বলি। এবং এর ফলে অনেকেই হয়তো সেই সিনেমাটি দেখতে যান বা বইটি কিনে পড়েন। তার মানে আপনার কথার কারণে বই বিক্রেতা বা সিনেমা প্রযোজক এর ব্যবসা বাড়লো। কিন্তু তারা কি আপনাকে এই অধিক ব্যবসা থেকে যে লাভ হলো, তার অংশ দেয়? নাহ, দেয় না। কিন্তু ন্যায় সম্মত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং পদ্ধতিতে যে কোম্পানি ব্যবসা করে, আপনার কথার কারণে তাদের ব্যবসা বাড়লে, সে বাড়তি ব্যবসায় যে লাভ হয়, তার অংশ আপনাকে দেবে। খেয়াল করবেন যে আমি বার বার ‘ন্যায় সম্মত’ শব্দটি ব্যবহার করছি। তার কারণ হলো, এই পদ্ধতিকেই যদি অন্যায় ভাবে কোনো কোম্পানি ব্যবহার করে, তাহলে অনেক লোকের অনেক ক্ষতি করতে পারে। পিরামিড স্কিম এর নাম অনেকেই আপনারা শুনেছেন যেখানে, সরাসরি কোনো পণ্য বিক্রয় না করে, শুধু পয়সার বিনিময়ে কারো টিম এ লোক রেজিস্টার করতে পারলেই, যিনি টিম এর নেতা, তিনি অনেক টাকা পান। সদ্য আমি ফেইসবুক এর মারফত দেখেছি যে বাংলাদেশে একটি চক্র ঠিক এই কাজটি করছে। দেখবেন এই চক্রের সদস্যগণ, যারা শত শত বা হাজার হাজার টাকার মেম্বারশিপ ফী দিয়ে সদস্য হয়েছেন, তারা শুধু একই ভাবে আপনাকে ফী দিয়ে মেম্বার হতে বলবেন বারবার। যেহেতু এইরকম স্কিম আইনগতভাবে নিষিদ্ধ, সেকারণে এনারা পেছনে একটি নামকাওয়াস্তে পণ্য ভিত্তিক ব্যবসা রেখেছেন। আমি একজনকে দেখেছি যিনি এমন একটি চক্রের সদস্য যারা মেম্বার হলে তৈরী পোশাক বিক্রয় করার ব্যবসা গড়ে দেয়ার কথা বলে তাকে ফী দিতে উদবুদ্ধ করেছেন। কিন্তু তারপর পোশাক বিক্রির চেষ্টা করার পরিবর্তে ওনাকে শুধু নতুন নতুন সদস্য রেজিস্টার করতে বলছে তার উপরে যারা আছেন, তারা। এরাও নেটওয়ার্ক মার্কেটিং ব্যবহার করছেন, কিন্তু অন্যায় ভাবে লোক ঠকানোর জন্যে।
ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানিতে সদস্যপদ পেতে কাউকে কোনোদিন কোনো ফী প্রদান করতে হয় না। অর্থাৎ সদস্যপদ পাওয়া যায় বিনামূল্যে। এবং কে কতটা পণ্য ক্রয় করলেন, তার উপর ভিত্তি করে তাকে উপযুক্ত মূল্যহ্রাস এর সুযোগ দেয়া হয়। যেকোনো দোকানে গিয়ে আপনি যদি একটির পরিবর্তে পাঁচটি জিনিস কেনেন, তাহলে দোকানি যেমন আপনার কাছ থেকে দাম কিছু কম রাখে, ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানিও ঠিক তাই করে। না, আসলে আরো বেশি করে। কেমন? আপনি একবার পাইকারি মূল্যের কোনো স্তরএ উঠে গেলে, সেখান থেকে আর কোনোদিন নিচে নামার সম্ভাবনা নেই। অথচ পদোন্নতি পেয়ে যদি আরো উঁচু কোনো স্তরে আপনি ওঠেন, তখন আপনার মূল্যহ্রাস মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। নিচের উদাহরণ টি দেখুন।
শাহাদাত নামের একজন লোকের কথা ভাবুন। শাহাদাত তার ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানির সদস্য হবার ফর্ম পূরণ করে, প্রথমদিন আড়াই হাজার টাকার বিভিন্ন জিনিস কিনলো। সাথে সাথে, শাহাদাত বাকি জীবনের জন্য এই কোম্পানির ‘মার্কেটিং প্ল্যান’ এ Novus Customer পদ লাভ করলো। ফলে সে পণ্যগুলোর খুচরা মূল্যের উপর শতকরা ১৫ ভাগ মূল্য ছাড় পেলো। সে এর থেকে কিছু পণ্য নিজে ব্যবহার করলো এবং বাকি পণ্য গুলো চেনাজানা কয়েক জনের কাছে বিক্রি করে ১৫% লাভ করলো। পণ্য ব্যবহার করে খুশি হয়ে সে সকলকে এই পণ্য সম্পর্কে বলতে থাকলো। এতে অনেকেই তার কাছ থেকে এই পণ্য কিনতে চাইলো। সে সকলের অর্ডার গুলো নিয়ে সেই পণ্যগুলো কিনে এনে দিলো এবং ১৫% লাভ রাখলো নিজের জন্যে। বাকি জীবন সে যদি আর একটি পয়সার জিনিষও না কেনে, তাহলেও তার এই সদস্যপদ এবং ১৫% মূল্যছাড় বহাল থাকবে।
ফরেভার লিভিং প্রোডাক্টস কোম্পানির প্রতিটি পণ্যের দামের উপর ভিত্তি করে একটি সিসি (CC, short for Case Credit) মূল্য রয়েছে। যে পণ্যের দাম যত বেশি, তার সিসি মূল্য তত বেশি। যেকোনো জিনিসের ওজন যেমন পৃথিবীর সব দেশেই এক, আমাদের পণ্যগুলোর সিসি ও পৃথিবীর যে কোনো দেশে একই থাকে। এই একক ফরএভার ব্যবসায়ীদের পদোন্নতি পরিমাপের জন্য ব্যবহার করা হয়।
শাহাদাত যে পণ্যটিই কিনছেন, কোম্পানি সেই পণ্যের সিসি মান, তার একাউন্ট এ যোগ করছে। কোম্পানি যদিও প্রোমোশনের জন্যে পরপর দুইমাসের সর্বমোট সিসি কে ব্যবহার করে, কিন্তু কেউ যদি এই সময়ের আগেই পদোন্নতির জন্যে প্রয়োজনীয় সিসি করে ফেলেন, তাহলে সেই মুহূর্ত থেকেই তিনি পদোন্নতি পান। শাহাদাত একমাস দশ দিনেই, প্রথম পদোন্নতি বা প্রমোশন এর জন্য প্রয়োজনীয় ২ সিসি করে ফেললেন। সাথে সাথেই কোম্পানির মার্কেটিং প্ল্যান এ তার পদ হয়ে গেলো ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইসর’ এবং তার মূল্যছাড় বেড়ে হয়ে গেলো ৩৫% . তার মানে এখন সে ৬৫ টাকা দিয়ে একটি জিনিস কিনে ১০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করে ৩৫ টাকা লাভ করে। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। এসিট্যান্ট সুপারভাইসর হয়ে যাওয়ায়, এখন সে তার অধীনে পণ্য বিক্রয় এর জন্য ঠিক তার নিজের মতো সদস্য নিয়োগ করার অনুমতি পেলো। এবং মহা উৎসাহে সে তার দল গঠন এর কাজে নেমে পড়লো।
শাহাদাত এর বন্ধু কামাল। শাহাদাত তাকে এই ব্যবসা সম্পর্কে বললো এবং কি করে সে মাত্র আড়াই হাজার টাকার জিনিস কিনে, কোনো দোকান বা কর্মচারী ছাড়াই, নিজের সুবিধা মতো সময় পার্ট-টাইম কাজ করে নিজের ব্যবসা শুরু করেছিল, সে গল্প তাকে বললো। তার কথা শুনে, কামাল ভেবে দেখলো যে সেও ঠিক একই ভাবে নিজের জন্যে একটা ব্যবসা গড়ে নিতে পারে। সুতরাং সেও শাহাদাত এর সাথে গিয়ে এই কোম্পানির পণ্য কিনে ১৫% মূল্যছাড় এর সদস্য হয়ে গেলো এবং শাহাদাত এর সাথে কাজ শুরু করে দিলো। এতে শাহাদাত এর আরো ভালো হলো। কারণ আমাদের কোম্পানি যেহেতু আপনার আর আপনার টীম মেম্বার এর মূল্যছাড় এর মধ্যে যে পার্থক্য, সে টাকা তা আপনাকে বোনাস আকারে প্রদান করে, সেকারণে শাহাদাত এর উপার্জন আরো বেড়ে গেলো। কামাল যেহেতু ১৫% এর যোগ্য আর শাহাদাত ৩৫% এর যোগ্য, কামাল যদি ১০০ টাকার জিনিস কেনে, তাহলে কোম্পানি শাহাদাতকে ২০ টাকা বোনাস হিসাবে প্রদান করে। এবার শাহাদাত আরো ৩/৪ জনকে বুঝিয়ে সদস্য করে। তার বোনাস আরো বড় হয়। এবং এভাবেই চলতে থাকে।
ওদিকে কামাল ও খুব উঠেপড়ে ব্যবসা বাড়াতে শুরু করেছে এবং তাতে এক মাসের মধ্যেই সেও অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারভাইসর প্রমোশন পেয়ে যায়। এই অবস্থায় শাহাদাত আর কামাল যেহেতু একই স্তর এ আছে, তাই কামালএর ব্যবসার থেকে কোনো বোনাস শাহাদাত পায় না। কিন্তু কামাল যত সিসির ব্যবসা করে, সেই পুরো সিসিই শাহাদাত এর দলের সিসি হিসাবে যোগ হতে থাকে। পুরো দলের দুমাসের সম্মিলিত সিসি যখন ২৫ সিসি হয়ে যায়, শাহাদাত আবার প্রমোশন পেয়ে ‘সুপারভাইসর’ পদ লাভ করে। তার মূল্যছাড় মাত্রা হয়ে যায় ৩৮% এবং সাথে সাথেই সে আবার কামাল ও তার দলের যে সম্মিলিত সিসি, তার মূল্যের উপর ৩% বোনাস পেতে শুরু করে। সাথে তার অন্য সদস্যদের ব্যবসা থেকে বোনাস এবং নিজের খুচরা বিক্রয় তো রয়েছেই। এখন শাহাদাত এই ব্যবসার আসল রহস্য নিজে অনুভব করে। এবং নিজে আরো লোককে নিজের দলের সদস্য বানিয়ে তাদের জন্য ব্যবসার রাস্তা তৈরী করে দেয় এবং তার দলের অন্য সদস্য (যেমন কামাল) দের কে সাহায্য করে আরো বেশি ব্যবসা করতে। বলতে বলতেই তার দলের সম্মিলিত পর পর দুই মাসের সিসি, ৭৫সিসি হয়ে যায়। শাহাদাত আবারো প্রমোশন পেয়ে ‘এসিট্যান্ট ম্যানেজার’ হয় এবং তার মূল্যছাড় এর মাত্রা ৪৩% এ গিয়ে দাঁড়ায়। ফলে তার ব্যক্তিগত খুচরা ব্যবসা থেকে লাভ অনেক বেশি হতে শুরু করে এবং তার দলের বিভিন্নজনের সিসির মূল্যের উপর বোনাস পেয়ে মাসে তার রোজগার ৩০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়।
সে আরো উৎসাহিত হয়ে আরো বেশি কাজ করতে শুরু করে। আরো বেশি লোকদের কে বিক্রয় করা, আরো বেশি লোককে ব্যবসা নিয়ে বলা, আরো বেশি সদস্য তৈরী করা ইত্যাদি। ফলে তার পরের মাসেই তার নিজের এবং দলের সম্মিলিত সিসি হয়ে দাঁড়ায় ১২০সিসি। শাহাদাত প্রমোশন পেয়ে হয় ‘ম্যানেজার’ এবং তার মূল্যছাড় এর মাত্রা সর্বোচ্চ ৪৮% এ উঠে যায়। চাকরির পাশে পার্ট-টাইম কাজ করে যখন মাসে শাহাদাত ৭০/৮০ হাজার টাকা উপর্জন করতে শুরু করে, তখন তার হঠাৎ মনে হয়, স্বপ্নের জীবনের দরজার তালা এবার যেন খুলতে শুরু করেছে।
এই উদাহরণে শাহাদাত এর পরিবর্তে আপনার নাম বসিয়ে নিয়ে ঠিক এই ভাবে কাজ করলে, আপনিও ঠিক এমনি করেই স্বপ্নের জীবনের চাবি হাতে পেতে পারেন।
এই কোম্পানির সাথে কাজ করে ম্যানেজার হয়ে গেলে, তখন কোম্পানি নিজ খরচে আপনাকে বিদেশ বেড়াতে নিয়ে যাবে। ফাইভ ষ্টার হোটেলে থাকা, খাওয়া তো বটেই, এমন কি হাত খরচের টাকাও দেবে আপনাকে।
এর পরে আরো যে প্রমোশন গুলো পাওয়া যায়, তাদের সম্পর্কে আজ আর নাইবা শুনলেন। নয়তো রাতে হয়তো ঘুমাতেই পারবেন না। এইটুকু ভালো করে বুঝে নিন, বাকিটা আমার সাথে যখন কাজ করবেন, তখন বুঝিয়ে দেব?
যদি শুনে জিনিষটা খুব পানির মতো সোজা মনে হয়ে থাকে, তাহলে আবার বলি, কঠিন পরিশ্রম না করে আমাদের ব্যবসায় সামনে আগানো যায় না। যদি লেগে থেকে কাজ করতে রাজি না থাকেন, তাহলে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না, আমারো সময় নষ্ট করবেন না। আর পরিশ্রম করতে আর শিখতে যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে আপনার মতো মানুষকেই খুঁজছি আমি এবং আমার কোম্পানি ফরেভার লিভং প্রোডাক্টস।
এবারে ভেবে বলুন, আমার দলের সদস্য হয়ে ফরএভার লিভিংপ্রোডাক্টস কোম্পানির ছায়ায় পার্ট-টাইম কাজ করে নিজের জন্য একটি উপার্জনের রাস্তা খুলতে চান কিনা।
ভালো থাকবেন !
শাহাদাৎ
কলঃ ০১৭১৭০১৯০৮১
সুত্রঃ http://www.foreverlivingbd.com/how-to-start/